শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ধানক্ষেতে জেনারেটরের তারে জড়িয়ে একটি বন্য হাতির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত ১০টার দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামে গুচ্ছগ্রাম–সংলগ্ন পাহাড়ের ঢালে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর গতকাল রাতেই বন বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে জেনারেটরের তার জব্দ করেছেন। শুক্রবার (২১ মার্চ) সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী।
বন বিভাগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে ১৮-২০টি বন্য হাতির পাল উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের বিভিন্ন টিলায় ও জঙ্গলে অবস্থান করছে। দিনের বেলায় টিলা বা জঙ্গলে অবস্থান করলেও সন্ধ্যা নামার পর হাতির পাল দলবেঁধে ধানক্ষেতে, লোকালয়ে নেমে আসে। এজন্য কৃষকরা ফসল রক্ষায় মশাল জ্বালিয়ে, রাত জেগে হাতির পাল প্রতিরোধের চেষ্টা করেন।
পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামে গুচ্ছগ্রাম–সংলগ্ন এলাকায় পাহাড়ের ঢালে ৭০-৮০ একর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। বন্য হাতির কবল থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকরা ধানক্ষেতে জেনারেটরের মাধ্যমে তার দিয়ে ঘিরে রাখেন। গতকাল রাতে হাতির পাল সেই ফসল খেতে হানা দেয়। এ সময় একটি হাতি তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। এ সময় অন্য হাতিগুলো মৃত হাতিটিকে ঘিরে রাখে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বন বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে জেনারেটরের তার জব্দ করে নিয়ে যান। এ সময় হাতির দলটি মৃত হাতির আশপাশে জঙ্গলে অবস্থান করছিল। শেষরাতে মৃত হাতিটি রেখে অন্য হাতিগুলো জঙ্গলে ফিরে যায়।
মধুটিলা এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, ‘খাদ্যের সন্ধানে আমন ও বোরো মৌসুমে বন্য হাতির দল লোকালয়ে নেমে আসে। গতকাল রাতে ১৮-২০টি হাতি পাহাড় থেকে গুচ্ছগ্রাম–সংলগ্ন ধানক্ষেতে নেমে আসে। এ সময় জেনারেটরের তারে জড়িয়ে একটি হাতির মৃত্যু হয়।’ মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী বলেন, ‘জেনারেটরের তারে জড়িয়ে একটি মাদি হাতির মৃত্যু হয়েছে। হাতিটির বয়স পাঁচ বছর হবে। রাতেই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। মৃত হাতির ময়নাতদন্ত করা হবে। এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
বাংলাস্কুপ/প্রতিনিধি/এনআইএন